বিয়ের কনের পোশাকের রং, উপকরণ, সাজ—একেক বছরে একেকভাবে উঠে আসে আলোচনায়। এ বছর সীমিত পরিসরের বিয়েগুলোতে কনের শাড়িতে দেখা যাচ্ছে নিম বা হালকা জরির কাজ, রুপালি গয়নার চল। কাতানের ওড়নাও দেখা যাচ্ছে। আর সাজ হালকা।
করোনার সংক্রমণ এড়াতে বিয়ের আয়োজনে দেখা যাচ্ছে ব্যাপক পরিবর্তন। এই সময়টাতে সীমিত পরিসরে বাড়িতে হচ্ছে বেশির ভাগ বিয়ের আয়োজন। সীমিত পরিসরের বিয়েই চলছে এখন। তবে বিয়ের সবকিছুতে সেই ঘরোয়া, পারিবারিক আবহ ফিরে এসেছে। গায়েহলুদ, বিয়ে, বউভাতসহ সব পর্বেই আন্তরিকতা যেন বেড়ে গেছে আবার।
সীমিত পরিসরের ছোঁয়াও লেগেছে সাজপোশাকে। খুব বেশি জমকালো নয়, বরং শাড়ি, গয়না, মেকআপ—সবকিছুতেই হালকা স্নিগ্ধ বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এদিকে প্রতিবছরই কনেসাজে কিছু না কিছু নতুনত্ব দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম নেই। কখনো পোশাকের রং, আবার কখনো দেখা যায় কনের কাপড়ের উপকরণ হয়ে উঠেছে আলোচিত। এদিকে কনের পরনে রুপালি গয়না নিয়েও মাতামাতি হলো বেশ কয়েক বছর। তেমনি এ বছর কনের শাড়িতে দেখা যাচ্ছে নিম বা হালকা জরির কাজ। রুপালি গয়নার চল এ বছরও থাকবে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে মুক্তা ও পাথরের ব্যবহার। কাতান ওড়নার ব্যবহারও দেখা যাবে ব্যাপকভাবে। মেকআপে থাকবে হালকা টোন। ভারী নয়, বরং হালকা গয়নায় কনে সেজে উঠবেন অনন্য ঢঙে।
জামদানি মানে কনেসাজে আভিজাত্যের ছোঁয়া। আর রং যদি সাদা হয়, তাহলে তো কথাই নেই। রুপালি মুক্তার গয়নায় ছিমছাম সাজে অভিজাত কনে। কনের শাড়ির জমিনজুড়ে লাল, পাড়ে হলুদের প্রাধান্য। ক্র্যাফট পেপার আর কাপড়ের ব্যবহার হলুদের গয়নায় এনেছে বৈচিত্র্য। টেনে বাঁধা চুলে বসানো টিয়ারা আর হাতভর্তি লাল চুড়িতে মিষ্টি কনে। বিয়ের আয়োজনে মেহেদি পরানো নিয়েও কম উচ্ছলতা নেই কনের। এ নিয়েও থাকে আলাদা অনুষ্ঠানের আয়োজন। এদিন কনে বেছে নিতে পারেন মসলিনের শাড়ি। সবুজাভ শাড়ি হলে ভালো লাগবে। তাতে থাকতে পারে রুপালি জরির কাজ। এদিন কনে সোনালি বা রুপালি—যে রঙের গয়নাই পরুন না কেন, গয়নায় সবুজের ছটা সাজে আনবে পূর্ণতা।
লেখা: প্রথম আলো/বিপাশা রায়